নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ঢাকা-১৭ আসনের ভোট থেকে সরবেন না । গতকাল বৃহস্পতিবার তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে এ কথা বলেছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সাল চিশতী। তিনি বলেন, এরশাদ নির্বাচনে আছেন। তার নির্দেশেই তিনি ভোটের প্রচারে নেমেছেন।
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন এরশাদের পক্ষে গতকাল রাজধানীর বাড্ডা ও গুলশানে প্রচার চালান জাতীয় পার্টির কয়েকশ’ নেতাকর্মী। এরশাদের লাঙ্গলে ভোট চেয়ে তারা মিছিল করেন। নদ্দা এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
রংপুর-৩ এবং ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ। রংপুর-৩ আসনে তিনি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মনোনয়ন পেয়েছেন। ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক ফারুক। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করেছেন, ফারুকের সমর্থনে খুব শিগগির ভোট থেকে সরে দাঁড়াবেন এরশাদ।
ভোটের প্রচারে নেমে এ দাবির সত্যতা নাকচ করেছেন ফয়সাল চিশতী। তিনি বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারে এরশাদের উপস্থিতি কোনো বিষয় নয়। তিনি জাতীয় নেতা। দলের কর্মী বাহিনীই তার প্রচারের জন্য যথেষ্ট। শিগগির সুস্থ হয়ে এরশাদ দেশে ফিরবেন বলে দাবি করেন এ নেতা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের মনোনয়নে ঢাকা-১৭ আসনে জয়ী হন এরশাদ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও এরশাদ এবারও জয়ী হবেন বলে দাবি করেন ফয়সাল চিশতী।
এবারের নির্বাচনে ১৭৪ আসনে প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি। ২৬টি আসনে দলটির প্রার্থীরা মহাজোটের মনোনয়ন পেয়েছেন। বাকি ১৪৮টি আসনে নৌকার বিপক্ষে প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি। দলটির নেতাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, উন্মুক্ত ১৪৮টি আসনে অন্তত ৩০টিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা নৌকার সমর্থনে ভোট থেকে সরে গেছেন। বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ-৭ থেকে সরে গেছেন আওয়ামী লীগের সমর্থনে।
জাতীয় পার্টির নেতাদের দাবি, এখনও ৭০ থেকে ৮০টি আসনে নৌকার বিপক্ষে শক্তভাবে মাঠে আছেন তাদের প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের তরফ থেকে এসব প্রার্থীকে নিষ্ফ্ক্রিয় করার
প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে প্রার্থীরা রাজি হচ্ছেন না। জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হলেও মাঠ ছাড়তে রাজি নন তারা।
ঢাকা-৪ এবং ঢাকা-৬ আসনে মহাজোটের মনোনয়ন পেয়েছে জাতীয় পার্টি। এ ছাড়া ঢাকা-৫, ঢাকা-৭, ঢাকা-৮, ঢাকা-১০, ঢাকা-১১, ঢাকা-১২, ঢাকা-১৩, ঢাকা-১৪, ঢাকা-১৫ এবং ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি। ঢাকা-১৩ আসনের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম সেন্টু ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের সমর্থনে নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। ঢাকা-৫ এবং ঢাকা-১৪ বাদে উন্মুক্ত আসনের বাকি প্রার্থীরাও প্রচারে নেই। ঢাকা-১৪ আসনের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান গতকাল লাঙ্গলে ভোট চেয়ে প্রচার চালান। মাঠে আছেন ঢাকা-৫ আসনের প্রার্থী মীর আবদুস সবুর আসুদও।